The Lives of Others (2006)
(German: Das Leben der Anderen)
Director: Florian Henckel von Donnersmarck
সময়টা ১৯৮৪। জার্মানীতে পূর্ব-পশ্চিমের দ্বিধাবিভক্তি। বার্লিন প্রাচির তখনও ভেঙ্গে পড়েনি। সাংস্কৃতিক কর্মীদের অনেকেই পশ্চিম জার্মানীর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিলো। তাই পূর্ব জামার্নীতে সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে স্তিমিত করতে জার্মান ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (জিডিআর) প্রশাসন উঠে-পড়ে লাগে। পূর্ব জার্মানীতে নাট্যকার ড্রেইম্যান ও তাঁর দীর্ঘদিনের বান্ধবী অভিনেত্রী মারিয়া খুবই জনপ্রিয় ও দেশের প্রধান বুদ্ধিজীবীদের অন্যতম। একটি মঞ্চনাটকের প্রদর্শনীতে দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রী মারিয়ার প্রতি লিপ্সা অনুভব করে। ড্রেইম্যানকে শত্রু প্রতিপন্ন করার জন্য মন্ত্রী জার্মান সিক্রেট পুলিশ Stasi কে নির্দেশ দেয়।
ড্রেইম্যানের বাড়িতে ফোনে আড়িপাতা হয়। আর এ দায়িত্ব পায় ওয়েলার। মারিয়া নিজের ক্যারিয়ার বাঁচানোর জন্য মন্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ড্রেইম্যান ব্যাপারটা বুঝতে পারে কিন্তু প্রশাসনের কাছে তারা জিম্মি। উপরন্তু সে গোপনে পশ্চিম জার্মানীর বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ধরা পড়ে গেলে তাদের আন্দোলন সব ভেস্তে যাবে। ওয়েলার সব জানতে পারলেও কর্তৃপক্ষকে কিছুই জানায়না। সে উপলব্ধি করতে পারে জিডিআর প্রশাসন যা করছে তা অন্যায়। ওয়েলারও পরোক্ষভাবে ড্রেইম্যানকে সহায়তা করতে থাকে, তাদের আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ড্রেইম্যান বা প্রশাসন এসবের কিছুই জানতে পারেনা। তৎকালীন পূর্ব জার্মানীতে টাইপরাইটার রেজিস্টার করতে হতো। ড্রেইম্যান গোপনে আনরেজিস্টার্ড টাইপরাইটার দিয়ে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে যা জিডিআরকে ক্ষেপিয়ে দেয়। সন্দেহের তীর ড্রেইম্যানের দিকে। শেষ পর্যন্ত মারিয়া, ড্রেইম্যান আর ওয়েলারকে চরম মূল্য দিতে হয়। আর তার কিছুদিন পরই বার্লিন প্রাচীর গুড়িয়ে দেওয়া হয়। ড্রেইম্যানের কাছে অজনান রয়ে যায় তার শুভাকাঙ্খীর নাম।
৭৯ তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে এবং ৬৪ তম গ্লোডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডে শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে মুভিটি পুরস্কার জিতে নেয়।
আইএমডিবি রেটিং: ৮.৫/১০
The Counterfeiters
The Counterfeiters (2007)
(German: Die Fälscher)
Director: Stefan Ruzowitzky
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপর সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত একটি ক্লাসিক। ছবিটি দেখে অনেকেরই মনে পড়ে যাবে হোটেল রুয়ান্ডা ও শিল্ডলার্স লিস্ট মুভি দু’টির কথা। মুভিটি আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিবে অপারেশন বার্নহার্ড (Operation Bernhard) এর সঙ্গে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ অর্থনীতিকে ধসিয়ে দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ পাউন্ডের জালনোট তৈরি করার একটি গোপন পরিকল্পনা করে জার্মানরা যা ইতিহাসে অপারেশন বার্নহার্ড নামে পরিচিত।
ছবিটির মূল চরিত্র সালোমন নামের একজন জার্মান ইহুদি । সালোমন জাল নোট তৈরি করতে বিশেষ দক্ষ। যুদ্ধের সময় জার্মান বাহিনী তাকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। জালনোট তৈরি করতে পারায় সালোমন অপারেশন বার্নহার্ডে অজান্তেই জড়িয়ে পড়ে। তার নেতৃত্বে ক্যাম্পের বন্দীরা সফলভাবে ব্র্রিটিশ পাউন্ড জাল করতে সক্ষম হয়। প্রথমে সালোমন নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টায় ব্যস্ত থাকে। কিন্তু ধীরে ধীরে তার চাতুর্য আর চেষ্টাতেই ক্যাম্পের অসংখ্য বন্দী বেঁচে থাকার শক্তি পায়। ব্রিটিশ পাউন্ড জাল করার পর তাদের হাতে দায়িত্ব পড়ে ইউএস ডলার জাল করার। কিন্তু বন্দীরা বুঝতে পারে এ কাজ শেষ হয়ে গেলে জার্মানরা তাদেরকে আর বাঁচিয়ে রাখবেনা। সালোমন কৌশলে কাজ শেষ করতে সময় নেয়। কিন্তু কাজ সময় মত শেষ করতে না পারলেও মৃত্যু অনিবার্য।
৮০ তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে মুভিটি পুরস্কার জিতে নেয়। মুভিটি জার্মান ভাষায় নির্মিত । তবে অস্ট্রিয়ায় নির্মিত হওয়ায় অস্কার যায় অস্ট্রিয়ার ঘরে।
মুভি ছাড়াও অপারেশন বার্নহার্ড নিয়ে বিবিসির Private Schulz নামে একটি মিনি সিরিজ রয়েছে।
আইএমডিবি রেটিং: ৭.৬/১০
আমি মুভি ডিভিডিতে দেখি তাই ডাউনলোড লিংক দিতে পারছিনা বলে দু:খিত। তবে মুভি ডাউনলোডের জনপ্রিয় সাইটগুলোতে মুভি দুইটি পাবেন বলে আশা রাখি।
ধন্যবাদ
ক্রিস্তফ কিয়েসলোস্কির দি থ্রি কালার ট্রিলজি : ব্লু, হোয়াইট, রেড (The Colors: Blue , White, Red)
আমার প্রিয় সিনেমা: ব্যালাড অফ এ সোলজার